ট্রেন প্রেমিক সত্যজিৎ
===============
সত্যজিৎ রায় বাংলার 'ম্যাটিনি আইডল' উত্তমকুমারকে ট্রেনে চড়িয়ে এক অনন্য চিত্রকাব্য উপহার দিয়েছিলেন। চলচ্চিত্রটির নাম আপনারা সকলেই জানেন। চলচ্চিত্রের কাহিনী সম্পর্কেও আপনারা অবহিত।
‘নায়ক’ ছবির প্রধান চরিত্র অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বিমানের...
more... টিকিট না পেয়ে রেলপথে কলকাতা থেকে দিল্লি যাচ্ছেন একটি জাতীয় পুরস্কার গ্রহণের জন্য। যাত্রাপথে ‘আধুনিকা’ পত্রিকার সম্পাদক অদিতি সেনগুপ্ত নায়কের একটি সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। পরিশেষে অরিন্দমের কথা শুনে অদিতি বুঝতে পারেন তার খ্যাতির আড়ালে মনের গভীরে রয়েছে তীব্র একাকীত্ব। এই বাইরের নায়ক আর ভেতরের মানুষ একরকম নয়। অরিন্দমের প্রতি অদিতির সহানুভূতি জাগে। তিনি সিদ্ধান্ত নেন, নায়কের কথা জনমানসে প্রকাশ করবেন না, যাতে 'ম্যাটিনি আইডল' জনমানসে তার ভাবমূর্তি বজায় রাখতে পারেন।
মোট সাতটি ফ্ল্যাশব্যাক এবং দু’টি স্বপ্নদৃশ্যের মধ্য দিয়ে এই ছবিতে নায়কের জীবন ও তার মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান মূর্ত হয়ে ওঠে। মনে হয়, রেলযাত্রার মতোই নায়কের জীবন যাত্রা কখনো দুরন্ত, কখনো ধীর। এই চলচ্চিত্রের কিছু অংশ গ্রহণ করা হয়েছিল হাওড়া-নয়াদিল্লির মধ্যে এয়ারকন্ডিশনড ডিলাক্স এক্সপ্রেসে। এই ট্রেনটির যাত্রা শুরু হয়েছিল রাজধানীর আগেই। এই ট্রেনেও ছিল ডাইনিং কার, লাউঞ্জ। নাম বদলে এই ট্রেনটিই আজকের পূর্বা এক্সপ্রেস।
প্রসঙ্গতঃ নায়ক ছবিতে রেলগাড়ির ব্যবহার ছবিটিকে এক অনন্য মাত্রা দেয়। নায়ক ছবির মতই সত্যজিত রায়ের বিভিন্ন চলচ্চিত্রে ট্রেনের ব্যবহার দেখা গেছে তার স্বকীয় অমোঘতা ও মাধুর্যে।।
Post credit-Eastern Railway official Facebook page.